৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি দাবি

-

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। স্থানীয় সফটওয়্যার ও তথ্য-প্রযুক্তি পরিষেবার প্রসার এবং সম্ভাবনাময় এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধি সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর ব্যবসায়ী নেতারা এক সম্মিলিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উত্থাপন করেছেন। গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর কারোয়ান বাজার বেসিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যৌথ উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মতামত তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের বার্ষিক অভ্যন্তরীণ বাজারের আকার প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ। পাশাপাশি রপ্তানি প্রায় ১.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ‘রূপকল্প ২০৪১’ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ২০২৯ সাল নাগাদ সরকারের পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিশ্বমানের সক্ষমতা তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিতকরণ, দেশীয় তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ দেওয়া জরুরি। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারের ক্রমান্বয় বৃদ্ধির এই সময়ে নিজেদের দেশীয় বেসরকারি তথ্য-প্রযুক্তি খাতের মাধ্যমেই সেই চাহিদা পূরণে দেশীয় বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে প্রতিযোগিতামূলক রাখতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা বলবৎ রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই এসব লক্ষ্য অর্জনে সরকারের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বর্তমানে চলমান তথ্য-প্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হয়ে যাবে। যার ফলে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি কোনো বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না।


আরো সংবাদ



premium cement